অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম । সবাইকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা যারা ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন তারা আশা করি টিকেট কাটার ভোগান্তি কখনোই ভূলবেন না। তাই এই ভোগান্তি কে কিছুটা সহজতর করার লক্ষে বাংলাদেশ রেইলওয়ে এখন অনলাইনে টিকেট কাটার সু বুয়াবস্থা করে দিয়েছ।
আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেবো যে কীভাবে আপনারা সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে ট্রেইনের টিকেট কাটবেন। এছাড়া অগ্রীম টিকেট কাটার ক্ষেত্রে যে সব বিষয় খেয়াল করতে হয় সেগুলো সম্পর্কে সচেতনতামূলক কিছু দিকনির্দেশনা এই পোস্টে পেয়ে যাবেন। ট্রেইনের টিকেটের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে এই পোস্টে যাবতীয় সকল বিস্তারিত দেখতে পারবেন। কোন কোন মাধ্যমে এবং কীভাবে টাকা প্ররণ করবেন সে বিষয়ে এখানে বিস্তারিত পাবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্ট।
অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম
অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম। অনেকেই রয়েছেন যারা কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ট্রেন যাত্রা করতে ইচ্ছুক। এছাড়া কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় বা বিশেষ কোন দরকারে যারা হঠাত ট্রেনে যাতায়াত করতে চাচ্ছেন । তাদের জন্য ট্রেনের টিকেটটি অগ্রীম কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। পছন্দের যাত্রাটি আরো উপভোগ্য করে তুলতে ট্রেনের টিকেট টি অগ্রীম কাটুন। আমাদের পোস্টে অগ্রীম টিকেট কাটার বিষয়টি উল্লেখ করাই রয়েছেন। সাধারণভাবেই আপনি ট্রেনের টিকেট অগ্রিম কাটতে পারেন। আলাদা কোন ঝামেলা নেই এই পদ্ধতির জন্য।
অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার সঠিক সময়
অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটার সঠিক সময়। আপনি যদি ট্রেনের টিকেটটি অগ্রিম কাটতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটই নির্দিষ্ট সময়ে টিকেটটি কাটতে হবে। পছন্দের সিট পেতে হলে অবশ্যই সবার আগে টিকেট কাটা বাঞ্ছনীয়। অন্যথায় পছন্দের সিট তো পাবেনি না উল্টো টিকেট নাও পেতে পারেন। তাই ট্রেন যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অবশ্যই টিকেট আগেই কনফার্ম করুন। সাধারণত ট্রেনের অগ্রিম টিকেট ৯ দিন আগে থেকে পাওয়া যায়। এর মানে আপনি সর্বোচ্চ ৯ দিন পরের টিকেট কাটতে পারবেন। তাই এক সপ্তাহ আগে যদি কেউ টিকেট কাটে তাহলে আশা করা যায় যে পছন্দ অনুযায়ী সিট টি পেলেও পেয়ে যেতে পারেন। তবে বিভিন্ন উৎসবের ক্ষেত্রে যাত্রীর চাপ বেশি থাকা কালীন বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৪/১৫ দিন আগেই অগ্রিম টিকেট দিয়ে থাকেন। তখন আপনার সুবিধামত সময়ে টিকেটটি কেটে ফেলবেন। আশা করি সঠিক সময়ের ব্যাপারে আপনাদের মোটামুটি একটা ধারণা দিতে পেরেছি।
ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটবো!
ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটবো! আপনি চাইলে বেশ কয়েকটা নিয়মে ট্রেনের টিকেট কাটতে পারেন। এখন ট্রেনের টিকেট অনেক সহজেই আপনি ঘরে বসেই কাটতে পারেন। নির্বিঘ্নে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। নিজের মোবাইল দিয়েই টিকেট কনফার্ম করা সহ পেমেন্ট সুবিধাও রয়াছে। আপনি ইচ্ছে করলে টিকেটের মূল্য অনলাইনেই পরিশোধ করতে পারেন। এছারা আপনি ইচ্ছে করলে রেল স্টেশনে গিয়েও অগ্রীম টিকেট কাটতে পারেন।
মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম। মোবাইলের ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে অথবা রেলওয়ে অ্যাপ এর মাধ্যমে সহজেই ট্রেনের টিকেট মোবাইলের মাধ্যমে কাটতে পারেন। সুবিধা অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টিকেট এর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। এতে করে বাড়তি কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। টিকেট কনফার্ম করার পর অনলাইনেই টিকেট এর পিডিএফ কপি পেয়ে যাবেন। এরপর আপনিও ইচ্ছে করলে সেটি প্রিন্ট করেও রাখতে পারেন।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম। আপনি যদি ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কাটতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এর পরের ধাপগুলো নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ
০১. ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর পূর্বের একাউন্ট থাকলে লগ ইন করুন আর না থাকলে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করুন।
০২. এরপর মেন্যু থেকে Purchase Ticket এ ক্লিক করুন।
০৩. এবার আপনার যাত্রা শুরুর স্থান, তারিখ, গন্তব্য ও সিটের ধরন ইত্যাদি সঠিকভাবে উল্লেখ করে সাবমিট করুন।
০৪. পরের পেজে ট্রেনের সময় পছন্দ করুন এবং বাকী তথ্যগুলো দিয়ে পূরণ করুন।
০৫. এবার পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করে নির্দিষ্টভাবে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
০৬. সবশেষে আপনার টিকেটটি কনফার্ম হলে একটি এসএমএসের মাধ্যমে আপনাকে যানিয়ে দেয়া হবে। ইমেল এর মাধ্যমে আপনার টিকেট পাঠানো হবে, সেটি প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করুন।
শেষ কথাঃ
আশা করি আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেয়ে গেছেন। আমরা সবসময় পাঠকের চাহিদাকে প্রাদান্য দিয়ে কাজ করে থাকি। আপনাদের মতামত আমাদের একান্ত কাম্য। তথ্যগুলো বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভূলবেন না। ধন্যবাদ সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য।
