মনোয়ার হোসেন ডিপজল বাংলাদেশ চলচিত্র শিল্পের এক অনন্য নাম। পেশাগত ভাবে তার পরিচয় তিনি একজন অভিনেতা। কিন্তু এর বাইরেও তার বেশ কয়েকটি পেশা রয়েছে। তিনি একইসাথে বাংলাদেশী অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী। এসব মাধ্যম থেকে তিনি যথেষ্ট সম্পদ অর্জন করেছেন। ডিপজল কত টাকার মালিক সেই বিস্তারিত তথ্য আমাদের আজকের পোস্টে উপস্থাপন করা হলো। পোস্টের নিচের অংশে মনোয়ার হোসেন ডিপজল এর অর্থ উপার্জনের কিছু সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রকাশ করা হলো।
বর্তমানেও যুবকদের কাছে তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে অনেকদিন ধরেই তিনি সিনেমা থেকে দূরে সরে আছেন। সে যাই হোক ডিপজল কত টাকা আয় করেন তা হয়তো অনেকেই জানেন না। আজকে আমরা ডিপজলের আয় তার গাড়ি বাড়ি এবং সম্পদের পরিমাণ নিয়ে আলোচনা করব।-Dipjol koto takar malik
এছাড়াও ডিপজল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ ফাহিম শুটিং স্পট ফিল্মস, পর্বত পিকচারস টু নামেও তার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। ডিপজলের মত বাংলাদেশের অন্য কোন ভিলেন অভিনেতার এত টাকার সম্পদ এবং প্রতিষ্ঠান নেই। ডিপজলের mercedes ব্র্যান্ডের এবং বিএমডব্লিউ সিরিজের দুটি গাড়ি রয়েছে। যেই গাড়ি দুটির বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
ডিপজল একটা সময় সিনেমা প্রতি সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে তার জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে পারিশ্রমিক ও বাড়তে থাকে। তিনি চাচ্চু সিনেমার জন্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। ডিপজল বাংলা সিনেমাতে কাজের জন্য সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন। তবে সে সকল সিনেমায় তিনি প্রযোজক ছিলেন সেই সকল সিনেমা থেকে তিনি লাভের একটা অংশ পেয়ে থাকেন।
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী |
মোট সম্পদ | ২ মিলিয়ন ডলার বা ২০ কোটি টাকা |
মাসিক বেতন | _ |
বাৎসরিক আয় | ৬০ লক্ষ+ |
বয়স | ৬৪ বছর |
জন্মস্থান | মিরপুর, ঢাকা |
ঢাকায় তার একটি আলিশান বাড়ি রয়েছে সেই বাড়িটির মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। তিনি তার মেয়ের বিয়েতে তার মেয়েকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের একটি বাড়ি উপহার দিয়েছেন। তার মেয়েকে একটি mercedes ব্র্যান্ডের গাড়িও দিয়েছেন। ডিপজল একাধারে অভিনেতা প্রযোজক রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী। তিনি অনেক সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন। তার দুটি সিনেমা হল রয়েছে। সেখানে একটি সিনেমা হলে থেকে তিনি প্রতি বছর প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন।
ডিপজলের নিজস্ব পরিবহন সার্ভিস রয়েছে। ডিপজলের নামে ২৬০ টি বাস রয়েছে। একটা সময় ডিপজল সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেতেন না। আর এখন তিনি বাংলাদেশের ভিলেনদের মাঝে একজন। তিনি অনেকেই সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ দিয়েছেন। ডিপজল বেশ স্পষ্ট ভাষার মানুষ। তিনি সোজাসুজি কথা বলতে পছন্দ করেন। আমরা তার সর্বাঙ্গীন জীবনের সফলতা কামনা করি।
আরো দেখুনঃ