হাকাশ গবেষনায় সূচনা হলো নতুন এক যুগের। মহাশূণ্যে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী একটি দূর্বিক্ষণযন্ত্রের যার নাম জেমস ওয়েব। এর নামকরণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এপলো চন্দ্র অভিযানের অন্যতম স্থপতি জেমস ওয়েবের নামে। দশ বিলিয়ন ডলারের টেলিস্কোপটি দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর পূর্ব উপকূল থেকে ফ্রেঞ্চ গায়নার কৌর মহাকাশ কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু করে।
মহাশূণ্যে এখন হাবল নামে যে টেলিস্কোপটি রয়েছে তার জায়গা নেবে এই জেমস ওয়েব। এবং এটি দিয়ে মহাশূন্যের এমন দূরত্ব পর্যন্ত দেখতে পয়াওয়া যাবে যা আগে কখনো দেখা সম্ভব হয় নি। নতুন এই টেলিস্কপটির মূল বৈশিষ্ট হচ্ছে একটি প্রতিফলক আয়না যা ৬.৫ মিটার চাওড়া। বিশাল আকৃতির এই আয়নার পেছনে সোনার প্রলেপ লাগানো রয়েছে। বর্তমানে হাবল নামে যে মহাশূণ্যে টেলিস্কোপটি কাজ করছে তার চেয়ে এটি প্রায় ৩ গুণ বড় এবং ১০০ গুণ বেশি শিক্তিশালী। যানা গেছে এই টেলিস্কোপটি প্রিথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে কক্ষপথে অবস্থান করানো হবে।
বিশাল আয়না এবং ৪ টি অতি সংবেদনশীল যন্ত্রের কারণে এই জেমস ওয়েব তেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানী রা মহাশূন্যের অনেক গভীর পর্যন্ত দেখতে পারবেন বলে আশাবাদি সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয়, মহাবিশ্বে আলো বিকিরণকারী কাছের নক্ষত্র ও ছায়াপথের ছবি তুলতেও কাজে লাগবে এই টেলিস্কোপ। একিসঙ্গে মহাকাশ নিয়ে বিভিন্ন গবেষনার দরজা খুলে যাবে বলে আশাবাদি গবেষকরা। এর ফলে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে মহাবিশ্বে বিরাজমান বস্তু ও সংঘটিত ঘটনাগুলো আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে বলে মত তাদের।
কোটি কোটি বছর আগের বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের পর নেমে আসা অন্ধকার যে তারাগুলর আলোয় কেটে গিয়েছিলো তার অনুসন্ধান এখন করা যাবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে বহুদূরের গ্রহগুলোতে প্রাণির বসবাসের পরিবেশ আছে কিনা তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই শতাব্দির সর্বোচ্চ বৈজ্ঞানিক প্রচেস্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে এই টেলিস্কোপকে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে স্পেস তেলিস্কোপটির নকশা ও নির্মানে সময় লেগেছে প্রায় ৩০ বছর। যানা গেছে লক্ষে পৌছাতে ১ মাস সময় নেবে জেমস ওয়েব স্পেস তেলিস্কোপটি। আর কাজ শুরু করতে সময় লাগবে অন্তত ৫ মাস। এ বছরেই এর সুফল পাওয়া যাতে পারে বলে আশাবাদী এর সংশ্লিষ্টিরা।