জাতীয় দলের জন্য শক্ত পাইপ লাইন তৈরি করার লক্ষে কাজ করছেন বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব ১৯ দলের কোচ নাভিদ নেওয়াজ। ধরে রাখতে চান যুব বিশ্বকাপের শিরোপাও। তবে যুব ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাফল্য পেতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো উন্নতির ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের এই কোচ।
২০ সালে উনিশ এর বিশ্ব জয়। হোক না তা ছোটদের ক্রিকেট। ইতিহাস বলবে বিশ্বজয়ের স্বাদটা বাংলাদেশকে প্রথম পায়িয়েছে আকবর, রকিবুল শামিমরা। সেন্ট হুইস পর্কে সেদিন গর্বের সাথে উরেছিলো লাল সবুজের বিজয় নিশান। ম্যান্ডেলের দেশের একটা প্রান্ত পরিণত হয়েছিলো এক টুকরো বাংলাদেশে।
আগামী বিশ্বকাপ মিশনে বাংলাদেশ যাচ্ছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। তাইতো প্রত্যাশা টা অন্য যে কোন সময়ের চাইতে অনেক বেশি। চাপ টা জানেন কোচ নাভিদ নেওয়াজও, শিরোপা ধরে রাখতে আশাবাদী টাইগার যুবাদের এই কোচ।
তিনি বলেন,
“এবারের বিশ্বকাপেও শিরোপার লক্ষ থাকবে আমাদের। করোনার কারণে প্রস্তুতি ভালো হয় নি। তবে যে টুকু সময় আছে সেটুকু কাজে লাগাতে চাই। অলরাউন্ডারদের ভালো কম্বিনেশন আছে আমাদের দলে। আমাদের মূল লক্ষ থাকে জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটার তোইরি করা। এখান থেকে ভালো করে তারা যে নো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে সেভাবেই নার্সিং করা হয়ে তাদের। অনুর্ধ্ব উনিশ দলের ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে গিয়ে ভালো না করার কারণ ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো পিচে খেলা হয় না। সেইসাথে ভালো মানের প্রতিযোগীতামূলক আসর খুভ কম হয়। ঘরোয়া কাঠামো ঠিক হলে এই সমস্যা থাকবে না।”
অনুর্ধ্ব উনিশ দলের খেলোয়াররা একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠে। এই প্রসেসের উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতীয় দলের জন্য একটী শক্ত ব্যাকাপ তৈরি করা। দেশের ক্রিকেটের পাইপলাইনকে আরো মজবুত করা।
অনুর্ধ্ব উনিশ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শামীম পাটোয়ারী এরই মধ্যে খেলেছেন জাতীয় দলে। কিন্তু যুব ক্রিকেট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে যে ব্যাবধান টা বহুগুন তা হারে হারে টের পাচ্ছেন চাঁদপুরের এই তরুণ। এক্ষেত্রে নিম্নমানের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ যুব দলের কোচ।
করোনার কারণে প্রস্তুতি খুভ বেশি ভালো না হলেও ভারতের মাটিতে ট্রফি জয়ে ভরোসা দিচ্ছে বাংলাদেশকে। সামনে যুব এশিয়া কাপ এবং বিশ্ব কাপে ভালো করবে দল। প্রত্যাশা নাভিদ নেওয়াজের।
See More: বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান লাইভ