ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যাক্তি। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমান ২৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার মুনাফার রেকর্ড ভাগ্য খুলে দিয়েছে ইলন মাস্কের। মহাকাশ গবেষনা সংস্থা স্পেস এক্স ও ব্যাবসা সফল। বিশ্বে প্রথম ট্রিলিওনিয়ার হওয়ার পথে হাটছেম এই বিলিয়নিয়ার। বিনিয়োগ ব্যাংক মর্গান স্ট্যান লি দিয়েছেন এই পূর্বাভাস। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কম্পানী কয়েক বছরেই আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
১৯১৬ সালে বিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পান জন ডি রক ফেলার। এরপর পেরিয়ে গেছে শত শত বছর। বিলিয়নিয়ার দের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এমনকি এক্সক্লুসিভ ১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবেও আছেন বেশ কয়েকজন।
করোনা সংকটের মধ্যেউ বিশের শীর্ষ ধনীদের সম্পদ বেড়েছে হু হু করে। সেটি যদি বিলিয়ন ডলারের সীমা পার করে নি। তবে এবার বিশ্ব ট্রিলিয়ন বা লাখ কোটি দলার সম্পদের মালিক হতে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন এই বিনিয়োগ ব্যাংক।
পূর্বাভাস অনুযায়ী বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হবেন ইলন মাস্ক। মর্গান বলছে স্পেস এক্স কিংবা টেসলা এই দুই কোম্পানী বিশ্ব বাজারে প্রতিষ্ঠিত। তবে বিনিয়োগ ব্যাংকটি বলছে স্পেস এক্স বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয় বহুল কোম্পানী। এ কোম্পানীর বার বার ব্যাবহার করা যায় স্টারশীপের এমন রকেটগুলো দিয়ে ভবিষ্যতে মানুষকে চাঁদ আর মঙ্গলে নিয়ে যাবে স্পেস এক্স।
ইতিহাস বদলে দেবে স্পেস এক্স। ভবিষ্যতে এই কোম্পানির বাজার মূল্য হবে ২০ হাজার কোটি ডলার। চলতি মাসে এই কোম্পানির বাজার মূল্য দাড়িয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলার। ইন্টারনেট ফার্ম বাইট ডান্সের পর স্পেস এক্স ই বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ মূল্যের কোম্পানী।
মর্গান বিশ্লেষক এরাম জোমস বলেন মাস্কের বর্তমান সম্পদের বেশিরভাগ ই এসেছে টেসলা থেকে। তবে তিনি মকাশে অনুসন্ধান ব্যাবসা থেকে অনেক বেশি আয় করতে চলেছেন। তিনি বলেন একাধিক গ্রাহক জানিয়েছেন ইলন মাস্ক প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে যাচ্ছেন। যদিও লাখ কোটি ডলারের এ সম্পদ গড়ে দেবে টেসলা নয় বরং স্পেস এক্স। যেকোন শিল্পের মধ্যে স্পেস এক্স বিশ্বের সবথেকে মূল্যবান সংস্থা হবে বলে মনে করেন তিনি।