কমছে পৃথিবীর দ্যুতি। কারণ হচ্ছে উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমন্ডলে গ্রীনহাউজ ইফেক্ট। এজন্য উন্নত দেশগুলোর দায় বেশি থাকলেও স্বল্প উন্নত দেশের দায় ও কম নয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে গত ৭০ বছরে বাংলাদেশে উষ্ণতা বেড়েছে গড়ে ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যদিও উন্নত বিশ্বের তুলনায় ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ .৪৭ শতাংশ এর নিচে। এই হার আরো কমাতে নানা ভাবে সচেস্ট সরকার, দাবি পরিবেশ অধিদপ্তর এর।
দিনরাতের খেলায় আলো আধারির ভেলায় ভাষে ছোট্র এই নীল গ্রহ। আলোকিত হয় সূর্যের আলোয়। বায়ুমন্ডল ভেদ করে আসা এ আলোতেই নিত্যদিনের মাখামাখি। তবে সেই আলো যদি না আসে প্রাণ কি বাচবে!
এক জার্নালে প্রকাশিত জিওফিজিক্যাল রিচার্স লেটারে গবেষকদের দাবী গত দুই দশকে পৃথিবির দ্যুতি কমেছে গড়ে আধা ওয়াট এর মতো। কিন্তু কেনো!
“এটমস্ফেয়ার এ কার্বনডাই অক্সাউইড, মিথেন, গ্রীনহাউজ গ্যাসগুলোর কনসেন্ট্রেশন ধীরে ধিরে বেড়েই চলেছে। তাহলে অবশ্যই আমাদের স্থলভাগের উপরে যে বায়ুমন্ডল রয়েছে তার স্বচ্ছতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
ওজন স্তরের দূষণ আর উষ্ণতা বাড়াকেই তারা দুষছেন। গত একশো বছরে পৃথিবীর গড় তাপ বেড়েছে ০.০৭ ডিগ্রী। আর গত ৭০ বছরে বাংলাদেশের গড় তাপ বেড়েছে ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মতো।
“গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলেছে। এবং সাম্প্রতিক দশকে বিশেষ করে ২০১১ থেকে ২০২০ এবং ২১ এই সময় কিন্তু বৃদ্ধির হারটা আরো বেশি।”
কার্বন মিথেনের মতো ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ বাড়ছেই। পৃথিবীর উপরিভাগের বিকিরিত তাপের বায়ুমন্ডল ভেদের হার কমছে। এমন গ্রীনহাউজ ইফেক্টে দায় সবায়।
“প্যারিস এগ্রীমেন্ট এর আওতায় আমাদের টার্গেট হচ্ছে ২১০০ সাল নাগাগ তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। যদি সম্ভব হয় সেটা ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।”
জলবায়ু বিষয়ক জাতিসংঘের বৈশ্বিক চুক্তি ইউএন এফ সিসি তে বাংলাদেশ জানায় ২০১২ সাল পর্যন্ত নিঃসরণের পরিমাণ ১.৫২ মিলিয়ন টন। বৈশ্বিক তুলনায় যা ০.৪৭ শতাংশেরও নিচে।
এই হার আগে নিয়মিত দেখা না হলেও গত বছর থেকে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও ২০৩০ সাল নাগাদ ৮৯ মিলিয়ন টন ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ কমাতে চায় সরকার।