সরল অংক করার নিয়ম এবং উদাহরণ

সরল অংকের নিয়ম

সরল অংক করার নিয়ম। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট। আজকে আমরা অনে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেকে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সে আমাদের অনেক সময় সরল অংক করার প্রয়োজন পড়ে থাকে। হঠাত এই সমস্ত অংক করতে বসলে মাথা ঘুরে যায় বা সঠিক নিয়মটি একটুর জন্যে মনে পড়তে চায় না। সামান্য একটু অংশের জন্য অনেক সময় সরল অংক টি ভূল হয়ে থাকে। আমাদের আজকের পোস্টে একদম সহজভাবে বুঝিয়ে দেয়া হবে যে কীভাবে আপনারা সহজেই সরল অংক মনে রাখতে পারবেন। আসলে ছোট্ট কিছু জিনিস মাথায় রাখলেই এই অংক করতে আর জীবনে ঠেকবেন না আশা করি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্ট।

সরল অংকের নিয়ম

সরল অংকের নিয়ম। সহজ কিছু নিয়ম জানা থাকলেই সরল অংক হয়ে উঠবে আপনার কাছে একদম পানির মতো সহজ। আমাদের আর্টিকেলে একদম সহজ কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেগুলো মাথায় রাখলেই যে কোন সরল অংক সমাধান করা সহজ হয়ে যাবে। সরল অংকের যে মাইন সূত্র সেটি অনেক সময়ই আমাদের খেয়াল থাকে না। অথচো সামান্য সূত্র দিয়েই সরল অংক করা যায়। তাই কখনো যাতে ভূলে না যান সেইসব ট্রিক্স এজন্য আমাদের পোস্টটি ভালোভাবে লক্ষ করুন।

ভগ্নাংশের সরল অংকের নিয়ম

ভগ্নাংশের সরল অংকের নিয়ম। ভগ্নাংশের সরল অংক করা তেমন জটিল কোন কাজ নয়। এইসব সরল অংক করা সাধারণ সরল অংকের মতোই। শুধু খেয়াল রাখতে হবে সরলের ধাপগুলো মেনে চলতে হবে। ভগ্নাংশের সরল অংক করতে হলে যে মেইন মেইন বিষয় গুলো মেনে চলতে হবে সেগুলো পয়েন্ট আকারে দেয়া হলো।

  • ভগ্নাংশের সরল করতে গেলে সাধারণ সরলের মতই আগের কাজ আগে এবং পরের কাজ পরে করতে হবে।
  • এবার যদি ভগ্নাংশের ভাগ হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয়টি উল্টিয়ে দিয়ে তারপর গুণ করে সমাধান করে নিতে হবে।
  • যদি “এর” অথবা গুণ এর কাজ করতে হয় তাহলে গুণ করে সাধারণ ভগ্নাংশের গুণ এর মতই সমাধান করতে হবে।
  • এভাবে ভগ্নাংশের যোগ অথবা বিয়োগ থাকলে ল.সা.গু. করে সমাধান বের করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সাধারণ সরল অংকের ধাপ গুলো বজায় রেখেই এসব ভগ্নাংশ সমাধান করতে হবে।

সরল অংক করার নিয়ম কি

সরল অংক করার নিয়ম কি। সরল অংক আসলে অনেক সহজ একটি বিষয়। সামান্য কিছু টার্ম জানা থাকলে এই অংক করা কোন ব্যাপারই না। পোস্টের এই অংশে আপনাদের জন্য রয়েছে সরল অংকের সঠিক নিয়ম। এই নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনি সরল অংক করতে পারবেন নির্ভূলভাবে। আমরা সকলেই জানি সরল অংক করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হব্য। ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করে অংক সমাধান করতে হয়। এই ধাপগুলো মনে রেখেই যোগ, বিয়োগ, গুণ ভাগ এর কাজ করতে হয়। তবে কোনটির কাজ আগে এবং কোনটির কাজ পরে সেটিই মেইন বিষয়। নিম্নে পর্যায়ক্রমে দেয়া হলো যে সরল করতে হলে কোনটির কাজ আগে এবং এভাবে পর্যায়ক্রমে কোনটির কাজ পরে।

পাটিগণিত বা বীজগণিতীয় রাশিমালার সরল করার জন্য BODMAS rule ব্যাবহার করা হয়।
সরল করার জন্য যে কাজ গুলো আগে করতে হবে তা ধাপে ধাপে দেয়া হলোঃ

͞a = রেখা বন্ধনী

B = Bracket/ বন্ধনী – ( ), { }, [ ]

O = Of/ Order/ এর

D = Division/ ভাগ (÷)

M = Multiplication/ গুণ (×)

A = Addition/ যোগ (+)

S = Substraction/ বিয়োগ (-)

এভাবে একের পর এক প্রত্যেকটা কাজ ধাপে ধাপে সমাধান করতে হয় সরল করার ক্ষেত্রে। ধাপের ব্যাতিক্রম করলেই রেজাল্ট ভুল আসবে। তাই সবাধানতার সাথে প্রত্যেকটা ধাপ সমাধান করতে হবে।

সরল অংকের উদাহরণ

সরল অংকের উদাহরণ। পোস্টের এই অংশে সরল অংকের কিছু উদাহরণ দেয়া হলো আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে। ইতিমধ্যই আশা করি সরল অংক করার ব্যাপারে আপনাদের আর কোন সন্দেহ নেই। তারপরেও যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে উদাহরণ দেখে বুঝার চেস্টা করুন।

উদাহরণ ১ : ১৬ × ৪ + ১৬৮ ÷ ৮ – ৬৫ + ৪৮
= ১৬ × ৪ + ২১ – ৬৫ + ৪৮
= ৬৪ + ২১ – ৬৫ + ৪৮
= (৬৪ + ২১ + ৪৮) – ৬৫
= ১৩৩ – ৬৫ = ৬৮
উত্তর: ৬৮।

উদাহরণ ২: ৬৫ – ৫ [৪ + ৮১ ÷ {৯৩ – (৬০ ÷ ৫)
(৩৫ – ২৮)}]
= ৬৫ – ৫ [৪ + ৮১ ÷ {৯৩ – ১২ × ৭}]
= ৬৫ – ৫ [৪ + ৮১ ÷ {৯৩ – ৮৪}]
= ৬৫ – ৫ [৪ + ৮১ ÷ ৯]
= ৬৫ – ৫ [৪ + ৯]
= ৬৫ – ৫ × ১৩
= ৬৫ – ৬৫
= ০
উত্তর: ০।
উদাহরণ ৩: [৩৬ ÷ {২ + ২৮ ÷ (৪ + ১২ ÷ ৪)}] ÷ ৬
= [৩৬ ÷ {২ + ২৮ ÷ (৪ + ৩)}] ÷ ৬
= [৩৬ ÷ {২ + ২৮ ÷ ৭}] ÷ ৬
= [৩৬ ÷ {২ + ৪}] ÷ ৬
= [৩৬ ÷ ৬] ÷ ৬
= ৬ ÷ ৬
= ১
উত্তর: ১।
প্রশ্নঃ রেখা বন্ধনী চিহ্ন কি রকম?
উত্তরঃ ͞a
আশা করি আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আমাদের পোস্টে পেয়ে গেছেন। আমরা চেস্টা করেছি সরল অংক করার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম আপনাদের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য। এছাড়া এ বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে জানাতে ভূলবেন না।
1/5 - (1 vote)

4 thoughts on “সরল অংক করার নিয়ম এবং উদাহরণ”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top