টেসলার সিইও ইলন মাস্ক একজন অদ্ভুদ ও মজার ব্যাবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি মানুষের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকার পাশাপাশি অনেকের কাছেই বিতর্কিতও হয়েছেন। আমাদের আজকের পোস্টে তার দৈনন্দিন আয় এবং কি প্রতি ঘন্টার আয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরবো।
ইলন মাস্ক স্পেস এক্স এর প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটিও এবং প্রধান প্রকৌশলী। এছাড়াও তিনি একজন বিনিয়োগকারী এবং টেসলা ইন কর্পোরেট এর প্রডাক্ট আর্কিটেক্ট। এর পাশাপাশি তিনি একজন বিজনেস ম্যান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার এবং ইঞ্জিনিয়ার।
২০২০ সালের শুরু থেকে টেসলা এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। কিন্তু ইলন মাস্ক প্রতিনে, প্রতি ঘন্টায়, প্রতি মিনিটে এবং কি প্রতি সেকেন্ডে কত আয় করে! ২০২০ সালের শুরু দিকে ইলন মাস্ক ছিলেন বিশ্বের ধনী ব্যাক্তিদের তালিকায় ৩৫ তম। তিনি ইতিহাসে প্রথম ব্যাক্তি যে ১ বছরে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি তে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছেন।
এক বছরে তার মোট সম্পদ ১৫০ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা মূলত টেসলা স্টকের ২০% মালিকানা থেকে এসেছে। কিন্তু একই সময়ে তার সম্পত্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। যেমন সেপ্টেম্বরে ১৬.৩ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। যা ব্লুমবার্গের মতে সবচেয়ে বড় হ্রাস পাওয়া। কিন্তু সেই বছরের নভেম্বরে মাস্ক ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে পাশ করে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যাক্তি হন এবং তার এক সপ্তাহ পর তিনি মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কে পাশ করে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যাক্তি হন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে মাস্ক এর সম্পদ যখন ১৮৫ বিলিয়ন ডলার তখন তিনি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি হয়েছেন। যদিও তার পরের মাসের বেজোস তার শীর্ষ স্থান পুনরোদ্ধার করেন।
এজন্য টেসলার শেয়ারে প্রায় ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং ঠিক এই কারণেই তিনি এক বছরের মধ্যেই এত মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হন। ব্লুমবার্গ বিলয়নের মতে মাস্কের মোট সম্পদ বর্তমানে প্রায় ১৭৪ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে।
যদিও মাস্কের সম্পত্তির প্রায় তিন চতুর্থাংশ টেসলা থেকে আসে, কিন্তু এখানে কিছু নীতিমালা রয়েছে। মাস্ক টেসলার সাথে একটি চুক্তিতে সম্মত হন। যে চুক্তিতে বলা হয় যুকিপূর্ণ পারফর্মেন্স এওয়ার্ড। মাস্ক কেবল তখনি বেতন পাবে যদি টেসলা এবং তার শেয়ার হোল্ডার অসাধারণভাবে কাজ করে। সিইও এবং বোর্ডের মধ্যে এটাই প্রথম এবং সর্ব বৃহৎ ঝুকিপূর্ণ চুক্তি ছিলো।
সময় নির্দিষ্ট করে সাধারণ সূত্রের মাধ্যমে একজন মানুষের বেতন অথবা বার্ষিক উপার্জন বের করা সম্ভব কিন্তু মাস্কের মতো মানুষের জন্য এটি প্রায় অসম্ভব। যদিও তার টেসলার বেতন সম্পর্কে সকলেই যানে কিন্তু সেই বেতন তিনি গ্রহণ করেন না বল্লেই চলে। কিন্তু অপর দিকে স্পেস এক্স এর বেতন সম্পর্কে কেউই জানেন না।