বুর্জ খলিফা সম্পর্কে অজানা তথ্য- লিফটে চড়ে মাটি থেকে আকাশে মাত্র এক মিনিটে!

Burj Khalifa

বুর্জ খলিফা- পৃথিবির বুকে মানব সৃষ্ট এক অনন্য বিষ্ময়। যা মাটিতে দাঁড়িয়ে ছুয়েছে আকাশ। আরব আমিরাতের দুবাই শহড়ে ১৬০ তালার এই দালানটি মনুষ্য নির্মিত সর্বোচ্চ স্থাপনা। এটি দুবাই টাওয়ার নামেও পরিচিত। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই টাওয়ারে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বিলাশবহুল সুবিধাসমূহ। শুধু কি তাই, গগনচুম্বী এই বুর্জ খলিফা তেই রয়েছে পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র সাত তারকা হোটেল। রাজকীয় সুবিধাসম্পন্ন স্থাপনাটিকে ঘিরে মানুষের রয়েছে নানান জল্পনা কল্পনা। বুর্জ খলিফার সব অজানা তথ্য দেখতে সম্পূর্ণ পোস্টে চোখ রাখুন।

ধুলোর পৃথিবী থেকে মেঘের রাজ্যে অস্তিত্ব জানান দেয় অট্রালিকা বুর্জ খলিফা। ২৭১৭ ফুটের এই দালানটি এতই উচু যে সূর্যাস্তের পরেও ভবনের উপর তালার লোকজন আরো ২ মিনিট ধরে দেখতে পায় সূর্যটাকে। এছাড়া নিচ তলা এবং সর্বোচ্চ তলার মধ্যে তাপমাত্রার পার্থজ্য রয়েছে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য দুবাই এর শাষকেরা এই শহড়ে বিশ্বের সবথেকে উচু অবকাঠামো তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে দুবাই এ আক্ষরিক অর্থেই আকাশ ফুড়ে উঠার কাজ শুরু হয়। পাতাল ফুড়ে বেরিয়ে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে উঠতে এক সময় মেঘেদের রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয় দুবাই এর ভুবন ক্ষ্যাত আকাশচুম্বী অট্রালিকা বুর্জ খলিফা।

২০১০ সালে চালু হবার পর থেকে এখনো অন্য কোন দালান এই ভবনটির উচ্চতা কে ছাড়িয়ে যেতে পারে নি। ভবনটির মূল নকশাকারক এড্রিয়েন্স স্মিথ ২০০৪ সালে শুরু হওয়া নির্মান কাজ মাত্র ৫ বছরেই শেষ হয়। ভবনটি যেমন আকাশ্চুম্বী, ভবনটি নির্মানেও তেমন খরছ হয়েছে আকাশচুম্বী। এই দালানটি নির্মানে ব্যয় হয়েছিলো প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।

নির্মানকালে এর নাম বুর্জ দুবাই থাকলেও পরবর্তিতে এর নাম বুর্জ খলিফা রাখা হয়। মানব প্রকৌশলীদের এ এক অনন্য অর্জন। ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে বুর্জ খলিফা রয়েছে সর্ব শীর্ষ স্থানে। ভবনটির প্রাঙ্গনে একটি পানির ফোয়ারা রয়েছে। এই ফোয়ারা নির্মানে ব্যয় হয়েছিলো প্রায় ১৩৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। এই ভবনে ১০৪৪ টি এপার্টমেন্ট রয়েছে এবং ৪৩ তম ও ৭৬ তম তলায় আছে ২ টি সুইমিং পুল। আরো আছে ১৬০ কক্ষ বিশিষ্ট একটি হোটেল। ১২৪ তম তলায় দর্শকের জন্য করা হয়েছে প্রকৃতি দর্শনের ব্যাবস্থা।

বুর্জ ভবনে ৫৪ টি এলিভেটর বা লিফট রয়েছে যার কোন কোনটির গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ মাইল। লিফটে চড়ে নিচ তলায় থেকে ১২৪ তলা পর্যন্ত যেতে সময় লাগে মাত্র ১ মিনিট। এত উচ্চগতিসম্পন্ন লিফট থাকাটা অস্বাভাবিক নয় এখানে। কারণ এ অবকাঠামো টি আইফেল টাওয়ারের থেকেও ৩ গুন এবং এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এর থেকেও দিগুণ বড়।

বুর্জ খলিফার ভবনের দেয়ালে দেয়ালে বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীদের আঁকা চিত্রকর্ম রয়েছে প্রায় হাজার খানেক। যা অসংখ্য পর্যটক আকর্ষনের জন্য অন্যতম। বুর্জ খলিফা ভ্রমণ করলে কিছু সুন্দর সৃতি আপমার থলেতে জমা হতেই পারে। এটি পৃথিবীর মধ্যে মানব সৃষ্ট একটি অন্যতম অর্জন। বুর্জ খলিফা আপনার জন্য হতে পারে একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা।

Rate this post

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top