প্রযুক্তির উদ্ভাবনী শক্তির নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ। শুরু হতে শুরু হতে যাওয়া ৫জি দেখাচ্ছে সম্ভাবনার অবারিত দুয়ার। ডেটার পাশা পাশি ব্যাবসা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি দেবে নতুন মাত্রা। উৎপাদন মূখী কারখানা গুলোতে বাড়বে সক্ষমতা। সময়কে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার যে হাতছানি, তাতে বিসৃত হবে ব্যাবসার সম্ভাবনার দুয়ার।
প্রযুক্তির ধারাবাহিকতায় দেশে যাত্রা শুরু হয়ে গেছে ৫ জির। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ব্যাবহার নিয়ে বেশ উচ্ছ্বাসিত সবাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ প্রযুক্তির ব্যাবহার বাড়ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ৬ কোটি গাড়ি ৫জির সাথে যুক্ত হবে, আশা কারখানার অটমেশন রোবটিক্স ও আইওটি এর ব্যাবহার বাড়বে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাতে কমে আসবে উৎপাদনের সময়।
“ফাইবারের ইনফ্রাট্রাকচার যত দ্রুত তৈরি হয়ে যাবে এবং সেইখানে যত দ্রুত আমরা পৌছে দিতে পারবো লাস্ট মাইলে ফাইবারের হাই স্পীড এক্সেস সেখানেই ৫জি চলে যেতে পারবে দ্রুত।”
উদ্যক্তরা বলছেন বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার গেমিং ও ফ্রীল্যানসার দের জন্য অবারিত দ্বার উন্মুক্ত করে দেবে ৫ জি। বিশ্ব জুরে টেলিমেডিসিন সেবা ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রিতে রূপান্তরিত হবে। বন্দর বন্দর ব্যাবস্থাপনা, পণ্যের হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্যাটেলাইট কিংবা সম্প্রচার সব ক্ষেত্রে মিলবে গতি।
“আমাদের যারা ফ্রীল্যান্সার আছে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী তারা কিন্তু নিম্নগতির ইন্টারনেটের কারণেই অনেক ধরণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো। তাই ডেফিনেটলি যখন আমরা আরো ভালো গতির ইন্টারনেট পাবো আমাদের ফ্রীল্যান্সাররা বা আমাদের যারা লোকাল পর্যায়ে যে আইটি কম্পানিগুলো আছে তাদের ব্যাবসা সম্প্রসারণে আরো বেশি সুবিধা সৃষ্টি হবে।’
শিক্ষা ও গিবেষনা কজাতেও সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। ৫জি দেশের প্রতিটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে খুলে যাবে সম্ভাবনার অবারিত দ্বার।
প্রযুক্তির উতকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ব্যাবসার ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও অর্থ আহরণে ৫জি আগামীতে মূল ভূমিকা রাখবে বলে আশা সকলের।