দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগড়ে অগ্নুপাতের ভয়াবহতা নারা দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। হতবাক করেছে বিজ্ঞানীদেরেও! ক্যানো এত শক্তিশালী ছিলো এই বিষ্ফোরণটি! ঠিক কি কারণে কিভাবে উৎপন্ন হলো সুনামি। এসব প্রশ্নের উত্তর খুজেছেন বিশেষোজ্ঞরা। স্যাটেলাইট এর ছবি নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ।
সুপ্ত থাকা আগ্নেয়গিরির জেগে উঠা প্রকৃতির স্বাভাবিক বিষয়। তবে অগ্নুৎপাতের এমং রুগ্নমূর্তি এমন ভয়াবহ বিষ্ফোরণ বিরল। টোঙ্গার আগ্নেয়গিরির অগ্নতপাত কাপিয়ে দিয়েছে গোটা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা। ২০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত ছড়ায় ছাই আর ধোয়া। টোঙ্গার সমুদ্রতলের প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ৮০০ কিলোমিটার দূরের ফিজি তেও। নাড়া পড়েছে সারে ১৬ হাজার কিলোমিটার দূরে ব্রিটেনের ব্যারোমিটারেও।
নজিরবিহীন অগ্নুৎপাতের পর এর ভয়াবহতার কারণ অনুসন্ধানের চেস্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেজন্য স্যাটেলাইটের ছবিই মূল ভরসা তাদের। পৃথিবী থেকে অন্তত ৩৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী কৃত্তিম উপগ্রহগুলোয় ধরা পড়ে সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি যেগুলো জরো করেই অগ্নুপাত ও সুনামির উৎপত্তি স্থল নিয়ে চলছে গবেষণা।
“২০১৫ সালে আগ্নেয়গিরিটি পরিদর্ষন করেছিলাম। নয়শো বা আঠারোশো বছর আগে যে ধারণা পাওয়া যায় তার তুলনায় এটি অনেক বড়। গত ডিসেম্বর থেকেই সেখানে উদগিরন শুরু হয়। ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি এর মধ্যে অগ্নুপাত ভয়াভয় ভাবে বেড়ে যায়। ভেতরে কি কি প্রভাবিত করেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।”
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন সাগর এর অল্প গভীরতায় অবস্থানের কারণেই অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা হয়েছে বেশি। উত্তপ্ত লাভা ও শীতল জলের মিশ্রণে হয়েছে বিষ্ফোরণ। বেশি গভীরে থাকলে পানির শীতলতায় কমে যেতো অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা।
শনিবারের অগ্ন্যুৎপাতের পর ছাই ও গ্যাস স্ট্র্যাটোমন্ডল পর্যন্ত পৌছে যাওয়ায় বায়ুমন্ডলে তৈরি হইয়েছে এক ধরণের ভারসাম্যহীনতা।
“ভূপৃষ্ট বা সমুদ্র তলের ফাটলে বেরিয়ে আসে পৃথিবীর অভ্যন্তরের লাভা। তীব্র অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সমুদ্র তলদেশ থেকে পাথর ও ছাই প্রচন্ড গতিতে উঠে যায় উপরে। এতে সাগরের তলদেশে পরিবর্তন আসে। বায়ূচাপেও হঠাত পরিবর্তন হয়। এতে সমুদ্রের পানিতে যে তুমুল কম্পোন তৈরি হয় সেটি উপরিভাগ এ বিশাল ঢেউ উৎপন্ন করে। সেই ঢেউ ফুলে ফেপে উঠে সুনামি আকারে আচড়ে পড়ে তীরে।
এর আগে প্রায় নয়শো বছরের ব্যাবধানে দুইবার এরকম ঘটানার সাক্ষী হয় বিষ্ব। সেই হিসেবে এবছর আরো বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাথে একটি মজার তথ্য দিয়েছেন তারা, বড় ধরণের অগ্নুতপাত নাকি পৃথিবীড় তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।